Healthy and nutritious food

খুব গুরুত্বপূর্ণ 10 টি লাল চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

(লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা)

চা বলতে সাধারণত সুগন্ধযুক্তস্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায়। যেটা চা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে পানীয় রূপে তৈরী করা হয়। আর চা নামক গাছ থেকে এই চা পাতা পাওয়া যায়। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’

গ্রীক দেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল বলে অনেক আগে থেকেই ধারণা করা হয়। চা মৌসুমী অঞ্চলের পার্বত্য ও উচ্চভূমির একটি ফসল। একপ্রকার চিরহরিৎ বৃক্ষের পাতা শুকিয়ে এই চা প্রস্তুত করা হয়। চীন দেশকেই চায়ের আদি জন্মভূমি বলা হয়। বর্তমানে চা-কে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য পানীয় রূপে গণ্য করা হয়।

প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে চা-কে প্রধানত পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন – লাল চা,(Rooibos Tea) ইষ্টক চা, সবুজ চা, প্যারাগুয়ে চা এবং উলং বা ওলোং চা।

যেহেতু চা আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী, সেহেতু এই চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু ক্ষতিকর এটা অবশ্যই জানা উচিত। তাই আজ আমরা লাল চায়ের (Rooibos Tea) স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

চলুন তাহলে প্রথমেই লাল চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি-

লাল চা এর উপকারিতা

লাল চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

1- ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী

বর্তমানে গোটা বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার একটি মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কয়েক কাপ রং চা আপনাকে এই মারণ ব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। আসলে এই পানীয়তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এখানেই শেষ নয়, লাল চা শরীরের যে কোন জায়গায় ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া, লাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর কোষগুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটা ইউভি রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের কোষগুলিকে রক্ষা করে। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

আবার, লাল চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ুর ক্যান্সার, ফুসফুস ও ব্লাডার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে।

2-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে

বর্তমানে এই করোনার সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে শারীরিক এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লাল চা। এই পানীয়তে (লাল চায়ে) টেনিস নামক একটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটি নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে সহজে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

এছাড়া, ঠান্ডা জনিত রোগ যেমন: টেনিস ফ্লু, ঠান্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, চার কাপ লাল চা প্রতিদিন গ্রহণ করলে প্রদাহ কমে।

3-ব্রেইনের কর্ম ক্ষমতা অধিক বৃদ্ধি করে

মানব স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ হলোর মধ্যে মস্তিষ্ক হল অন্যতম একটি। এটি আমাদের দেহের বেশিরভাগ ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করে থাকে। পাশাপাশি, আমাদের শরীরের বাইরে এবং ভিতরে উভয় থেকে প্রাপ্ত সব ধরনের তথ্যগুলি প্রক্রিয়া করে এবং দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী চিন্তাভাবনার সহ আমাদের আবেগ এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা গুলির পরিচালনা করে থাকে।

আর এই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে লাল চায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। লাল চা-য়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে, ফলে মস্তিষ্ক আরো বেশি সচল থাকে।

এছাড়া, লাল চা রক্ত চলাচলের গতি বাড়ায়, ফলে মস্তিষ্ক শিথিল থাকে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ে। প্রতিদিন চার কাপ লাল চা খেলে মানসিক চাপ কমে। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে এক মাস টানা যদি লাল চা খাওয়া যায়, তাহলে পারকিনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

4-ওজন কমাতে সাহায্য করে

জীবনের একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা প্রায় সবার জন্যই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আর ওজন বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে। তাই ওজন কমাতে বিভিন্ন ডায়েট প্ল্যান নিতে হয়। অনেকে কিটো ডায়েট করে থাকেন। কেউ আবার কম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। আর এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি সহজ উপায় হল রং চা।

নিয়মিত লাল চা পান করলে তুলনামূল হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে অন্যান্য ফ্যাট ফ্রি খাবারের সাথে আজ থেকেই চা-খাওয়া শুরু করুন।

5-হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করত লাল চা এর উপকারিতা

হার্ট নিঃসন্দেহে একজন মানুষের শরীরের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। আর আমাদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য হার্টের সুস্থতা একান্ত প্রয়োজন। তাই হার্টকে সুস্থ-সবল এবং কার্যক্ষম রাখতে আপনি নিয়মিত লাল চা পানের অভ্যাস করতে পারেন।

কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, আর হার্টকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে এনটিঅক্সিডেন্ট খুবই উপকারী একটি উপাদান। পাশাপাশি এটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।

এছাড়া, লাল চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের প্রপাটিজ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি লাল চা হার্টের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, ফলে হৃদপিন্ড সুস্থ থাকে।প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

6-হজম ক্ষমতার উন্নতি করে

শারীরিক সুস্থতার জন্য হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটিতে কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে পুরো দেহই স্থবির হয়ে পড়তে পারে। আর সব মানুষের হজমশক্তি এক ধরণের হয় না। একই ধরণের খাবার অনেকে সহজেই হজম করতে পারে, আবার অনেকে ভালো ভাবে পারেন না। আর এই হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে লাল চা বেশ উপকারী।

কারণ, এতে টেনিস নামক একটি উপাদান রয়েছে, যেটা হজম ক্ষমতার উন্নতি করে। পাশপাশি গ্যাস্ট্রিক সহ নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ প্রতিরোধ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও, লাল চা অন্ত্রের প্রদাহ,ডায়রিয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতেও দারুণ কার্যকরী।

7-মানসিক স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে

স্ট্রেস, টেনশন, ডিপ্রেশন- বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে ‍খুব পরিচিত একটি শব্দ। এই বিষয়গুলো যেনো সবার নিত্তদিনের সঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর এই মানসিক চাপ আমাদের দেহে ফ্রি রেডিকেলস তৈরি করতে সাহায্য করে।

যেটা ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম একটি উপাদান। তাই কিভাবে আমরা মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা কমাবো, সে ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। আর স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কোমাতে লাল চা বেশ উপকারী।

কারণ, লাল চায়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড নামক একটি উপাদান রয়েছে, যেটা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে সতেজ ও চাপ মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

8-হাড়ের যত্নে লাল চা এর উপকারিতা

হাড় বা অস্থি সব ধরনের মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে অন্তঃকঙ্কাল গঠনকারী এক ধরনের কঠিন অঙ্গ। প্রাণীদেহের নানান শারীরিক ক্রিয়াকলাপে এটি ব্যবহৃত হয়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহ রক্ষা করতে, কাঠামো সৃষ্টিতে, খনিজ পদার্থ সংরক্ষণে এবং লোহিত ও শ্বেত রক্তকণিকা সৃষ্টিতে এটি ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের জন্য আমরা তেমন যত্নই নেই না। একটু সচেতন হলেই আমরা আমাদের হাড়কে মজবুত করে গড়ে তুলতে পারি। আর হাড়ের সুস্থতাই লাল চা দারুণ উপকারী।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাল চায়ে কয়েক ধরনের পলিফেনল রয়েছে, যেগুলো অস্টিওস্টের কার্যকলাপকে উন্নত করতে সাহায্য করে। লাল চায়ে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় এটি হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

এছাড়া, লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়।

9-চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে

যে বিশেষ অঙ্গের দ্বারা প্রাণীরা পরিবেশ থেকে আলোক জাত ও উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং বহির্জগতের দৃশ্য দেখতে পায় তাকে চোখ বলে। চোখ প্রত্যেকটা প্রাণীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আর এই চোখের যত্নে লাল চা খুবই উপকারী।

কারণ, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে একবার লাল চা খেলে গ্লুকোমার মতো চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে যায়। গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত হলে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে শুরু করে। ফলে, অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে।

এছাড়া, লাল চায়ের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির ভাল-মন্দের সরাসরি যোগ আছে। কারণ, লাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এবং নিউরো প্রোটেকটিভ কেমিক্যাল চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত লাল চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

10-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয়। এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা বাধ্যতামূলক।

আর ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে লাল চা বেশ উপকারী। কারণ এটি কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত করে। পাশাপাশি, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

এছাড়া, সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে বলা হয়েছে- লাল চা পান করলে মানুষের রক্ত নালী ও ধমনির কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা

সাবধানতা

আমরাই তোমাদের জেনেছি, লাল চা এর উপকারিতা অনেক। কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু সাইডএফেক্ট বা অপকারিতা থাকে। এক্ষেত্রে লাল চায়েরো কিছু সাইড ইফেক্ট বা অপকারিতা রয়েছে। যেমন: একেবারে খালি পেটে বা খাওয়ার পর পরেই চা পান করা উচিত নয়।

এতে এসিডিটি সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, চা শরীর থেকে ভিটামিন ‘বি’ শোষণ রোধ করে, যেটা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত চা পান করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি চা পান করলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা উচিত নয়। চা পান করতে হবে চিনি ছাড়া, একান্ত সম্ভব না হলে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন। তবে পরিমাণটা যেন দিনে দুই চামচের বেশি না হয়।

এছাড়াও, সারাদিনে 4 থেকে 5 কাপ এর বেশি চা পান করা কোনভাবেই ঠিক নয়। চায়ের উপকারিতা গুলো সঠিকভাবে পেতে আপনাকে এই নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে।

লাল চা এর উপকারিতা

সামারী

সুস্থ থাকার জন্যে প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থসম্মত খাবার এবং ভালোভাবে জীবনযাপনের কোন বিকল্প নেই। তাই আমাদের চায়ের অভ্যাসটাও গড়ে তুলতে হবে স্বাস্থসম্মতভাবে। দুধ চায়ের বদলে পান করতে হবে লাল চা। তাহলেই আমরা রোগ বালাইকে দূরে রেখে সুন্দর একটি জীবন উপভোগ করতে পারব।

এছাড়া লাল চা আপনাকে দিবে সতেজতা ও বেশিক্ষণ কাজ করার দারুণ আমেজ। যে কোনো বয়সী মানুষ(শিশুরা ছাড়া) লাল চা পান করতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ। তবে অবশ্যই সাবধানতা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button