খুব গুরুত্বপূর্ণ ১১টি জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা
(জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা)
মসলা হিসেবে জিরা আমাদের সবার কাছে অনেক আগে থেকেই খুব পরিচিত। জিরার বৈজ্ঞানিক নাম ‘Cuminum’। এটা হলো অ্যাপিয়াসি গোত্রের একটি পুষ্পক উদ্ভিদ। জিরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে পূর্ব ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলের স্থানীয় একটি প্রজাতি। এর বীজ ফলের ভেতরে থাকে।
এছাড়া, বহু পূর্ব থেকেই মানুষ এটাকে চিরাচরিত চিকিৎসাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। জিরা মেশানো পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ, মিনারেল এবং বিভিন্ন রকম শরীরের জন্য উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও জিরা পানির আরো অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন:
1.ওজন কমাতে জিরা পানি
একটি ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে জিরা পানি অনেক উপকারী। ৮৮ জন অতিরিক্ত ওজনের মহিলাদের নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা জিরা পানি খেয়েছে তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কারণ, জিরা পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। এক চামচ জিরাতে মাত্র ৭ ক্যালোরি থাকে, পাশাপাশি পানি একেবারেই জিরো ক্যালরির একটি খাবার।
এছাড়া, জিরায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর তুলনামূলক ভাবে মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ফলে, খাবার খুব সুন্দরভাবে হজম হয় এবং ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়। ফাইবার আরেকভাবেও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে, বার বার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। আবার, জিরা পানি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে দেহের ওজন তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করে।
2-পানিশূন্যতা দূর করতে করে
প্রতিদিন জিরা পানি পান করলে শারীরিক পানি শূন্যতা দূর হয়। একই সাথে, দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, পানি শূন্যতার কারনে শারীরিক কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়।
জিরা পানি শরীরকে ডিহাইড্রেট করার পাশাপাশি, দেহের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীরের লিকুইড ব্যালেন্স ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে শরীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায় এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া, জিরা পানি গরমকালে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। জিরা পানি স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায়। জিরার ভিতরে থাকা একাধিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর শারীরিক এনার্জি লেবেল বেড়ে যায়, ফলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয়।
3-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
জিরার অনেক পুষ্টিগুণ থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জিরায় উপস্থিত আয়রন শরীরে প্রবেশ করার পর শরীরে লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। একই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও দূর করে।
ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয় যে, ছোট-বড় অনেক রোগই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। পাশাপাশি, এটাতে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে, এই দুইটি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী।
4.রক্তশূন্যতা দূর করতে জিরা পানির উপকারিতা
জিরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, এই উপাদানটি শরীরের রক্তের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতি ১ চা চামচ পরিমাণ জিরাতে ১.৪ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। বাচ্চাদের শারীর বৃদ্ধির জন্য এবং মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে আয়রন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই রক্তসল্পতা দূর করতে আমরা প্রতিদিন জিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি। আবার জিরা শরীরের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, ফলে, সেলুলার স্তরে অক্সিজেনের পরিমান বেড়ে যায়।
এছাড়া, জিরা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা আট সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই বার ৭৫ মিলিগ্রাম জিরা গ্রহণ করেছে, তাদের রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
5.এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে
বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম সহ বিভিন্ন কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
তাছাড়া ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে, পানি কম পরিমাণে খেলে বা প্রতিদিনের খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকলেও পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। আর জিরা পানি এই গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ে কার্যকরী ওষুধ হিসাবে কাজ করে।
জিরায় থাইমলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল রয়েছে, যেগুলো আমাদের লালাগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়ার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করে থাকে জিরা। যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত জিরা-চা খেতে পারেন।
6.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জিরা
Constipation বা কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা, যখন কোন ব্যক্তি সহজে বা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। আর জিরা পানি পানের আরও একটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান হয়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন, তারা দিনে দুই বার জিরা পানি পান করতে পারেন।
কারণ, জিরাতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে যেগুলো পাকস্থলী থেকে নাড়ির ভিতরের কাজগুলো দ্রুততর করতে সাহায্য করে। ফলে এনজাইম নিঃসরণ উজ্জীবিত হয়। এই কারণেই জিরাকে বলা হয় ‘ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ’ বা প্রাকৃতিক রেচক। এছাড়াও, পাইলস ও অন্যান্য হজম সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতেও জিরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
7.অনিদ্রা দূরীকরণে বেশ কার্যকরী
আমরা জানি, ঘুম প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর এই ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে শরীরে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি সহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর, জিরা পানি ঘুমের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ভেষজ বীজ।
আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে, যেটা ঘুমের অনুভূতি জগাই। আর যখনই আমাদের মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা চলে আসে, তখন আমাদের ঘুমের বিঘ্ন ঘটে।
তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা পূর্বে একটি কলার সাথে জিরার পাউডার মিক্স করে খেয়ে ফেলুন। এটা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন ক্ষরণে করতে সহায়তা করে।
8.স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে জিরা পানির উপকারিতা
জিরা পানি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে বিশেষভাবে কাজ করে। কারণ, জিরাতে রয়েছে রিবোফ্লেভিন, জেক্সাথিন, ভিটামিন বি ৬, নিয়াছিন এবং আরো অনেক মিনারেল যেগুলো যেকোন মানুষের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে, এমনেশিয়া রোগের চিকিৎসা করতে জিরা ঔষধ রূপে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এছাড়া, জিরার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। তাই, কলার সাথে জিরা খেলে মস্তিস্কে উপকারী ক্যামিকেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আপনি ইনসোমনিয়া রোগের হাত থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। যারা মোটামুটি অল্প বয়স থেকে জিরা পানি পান করে আসছেন, অন্যদের তুলনার তাদের স্মৃতিশক্তি বেশি ভালো হয়ে থাকে।
9.গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের বাড়তি পুষ্টি জোগাতে দারুন সাহায্য করে
গর্ভবতী মায়েদের শরীর ঠিক রাখতে জিরা বেশ কার্যকরী। এই সময় হবু মায়েদের কনস্টিপেশন এবং হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। জিরা এই দুই ধরনের সমস্যা কমাতেই দারুন কাজ করে।
সেইসঙ্গে মাথা ঘুরা এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত আরও যেসব সমস্যা দেখা যায় সেগুলোও কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, গর্ভস্থ ভ্রূণের, বাচ্চার এবং মায়ের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
আবার, পিরিয়ডের সময় অনেক নারীই তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। অসহ্যকর এই ব্যথা দূর করতে জিরা পানি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণের কারণে পিরিয়ডের মাসল ক্র্যাম্প বেশ দ্রুত কমে যায় জিরা পানি পানে।
10-ত্বকের সুস্থতায় বেশ কার্যকরী
কমবেশি সবাই উজ্জ্বল ত্বক পেতে পছন্দ করেন। এ জন্য অনেকেই নিয়ম মেনে ত্বকের পরিচর্যা করেন। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা সবায় ভুলে যায় তা হলো ত্বকের যত্নে ভালো খাবার খাওয়া।
আর জিরা পানি ত্বকের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয়। কারণ, জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ, সি, ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিএজিং বিদ্যমান রয়েছে। তাই জিরা পানি অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আবার, জিরা পানি ব্রণের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে কাজ করে। জিরা পানি পান করলে ব্রণ নিরাময় হয়। জিরা পানি ত্বকের ও দেহের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়া জিরা পানি ত্বকের ভিতরে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে ত্বকের ভেতরে উপস্থিত টক্সিক উপদান বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
11.জিরা পানির অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
উপরোক্ত উপকারিতা ছাড়াও জিরা পানির আরো অনেক অন্যান্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন:
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে জিরা পানি পান করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স যেমন ঠিক হতে শুরু করে। পাশাপাশি, পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার কমে যায়।
- জিরায় বেশ কিছু উপকারি উপাদান রয়েছে, যেগুলো শরীরে প্রবেশ করলে বুকে মিউকাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। একই সাথে, সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে নানাবিধ রেসপিরেটরি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
- এটা ডায়রিয়া, সকালবেলার শরীর খারাপ এবং ডিসপেপসিয়ার মতন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার প্রতিকার করতে সাহায্য করে। এই পানি এনজাইমের সংশ্লেষণে সাহায্য করে, আর এই এনজাইম ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজকে ভাঙতে সাহায্য করে।
- একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জিরা ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
- এছাড়াও, জিরায় থাইমল, ডিথাইমোকুইনন, থাইমোহাইড্রোকুইনন নামক অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান এবং ইউজিনল ও লিমনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে জিরা পানি কোলন, পাকস্থলী, লিভার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
জিরা পানি তৈরির সঠিক নিয়ম
প্রথম 1 লিটার পানির সাথে ১.৫ চা – চামচ জিরা ভালোভাবে মিশিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট চুলায় দিয়ে পানিটি ফুটিয়ে নিন। তারপর এটা পৌনে ১ লিটারের মতো হলে পানিটি চুলা থেকে নামিয়ে জিরা গুলো ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। এখন আপনার জিরা পানি প্রস্তুত।
এখন আপনার পছন্দমত কুসুম গরম বা বরফ শীতল যেকোনো ভাবেই খাইতে পারেন। এটি আরও একটু সুস্বাদু করতে, এটার সঙ্গে সামান্য চিনি, বিট লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, লেবুর রস ও ধনিয়াপাতা বা পুদিনাপাতা কুচি যোগ করতে পারেন।
এছাড়া, অন্য আর এক ভাবেও জিরা পান তৈরি করা যায়। বড় এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ সমপরিমাণ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে পানিটুকু ভালোভাবে ছেঁকে নিন। এটার সাধ বাড়ানোর জন্য সামান্য একটু লেবু দিয়েও খেতে পারেন।
সাবধানতা
আমাদের অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু সাইডএফেক্ট থাকে। তেমনি কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণ জিরা খেয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: বেশি জিরা খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে, পাতলা পায়খানা হতে পারে, শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে ইত্যাদি। উপরোক্ত অল্প সংখ্যক কিছু ক্ষতিকারক দিক ছাড়া এমনিতে জিরার তেমন কোনো অপকারিতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সামারি
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, জিরা রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহারিত হলেও এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এগুলো ছাড়াও জিরা পানির বা জিরার আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে।
এটি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবেও কাজ করে। তবে উপরোক্ত এসব উপকারিতা পেতে হলে আমাদের নিয়মিত জিরা খেতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
One Comment