Others

হাসির খুব গুরুত্বপূর্ণ ১৪ টি উপকারিতা এবং সাবধানতা

(হাসির উপকারিতা)

হাসি খুশি থাকতে চায়না এমন মানুষ এই দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হাসি হলো সুখ-শান্তির বহিঃপ্রকাশ। এখন প্রশ্ন হলো হাসি কি? হাসি হচ্ছে এক ধরনের মুখমণ্ডলীয় বহিঃপ্রকাশের একটি অংশ। যেটা সচরাচর ভাবে মুখের কোমল পেশিকে দুই পাশে প্রসারিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মাঝে মাঝে মুখমণ্ডল ছাড়াও চোখের মাধ্যমেও হাসির প্রকাশ ফুটে ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মত, হাসি শুধুমাত্র আনন্দের বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তাই আজ আমরা হাসির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব-

হাসির স্বাস্থ্য উপকারিতা

1.হাসি এক ধরণের উত্তম ব্যায়াম

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসি নানাভাবে আমাদের শারীরিক গঠনে সাহায্য করে। হাসি আমাদের অনেক দিক দিয়ে সুস্থ রাখতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি বিপুল পরিমাণ বার্ন হতে থাকে। শুধু তাই নয়, এই সময় পেটেও খুব চাপ পড়ে।তাই পেটের চর্বি কমতে থাকে । ফলে সব দিক থেকে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ১০০ বার হাসি ১০ মিনিট নৌকা চালানো, কিংবা ১৫ মিনিট সাইকেল চালানোর সমান শারীরিক ব্যায়াম। মুম্বাইয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মদনকাটরা , বিশ্ব জুড়ে হাসির ব্যায়ামের প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে ১০৫ টির ও বেশি দেশে অসংখ্য হাসির ক্লাব আছে। বর্তমানে এইসব ক্লাবে, চার থেকে পাঁচ রকম হাসির ব্যায়মও করা হয়।

2.মন ভাল করতে সাহায্য করে

আমারা প্রায় সবাই, মন খারাপ নামক একটি রোগে ভুগে থাকি। এ রোগে আক্রান্ত হননি এমন কোন ব্যাক্তি খুজে পাওয়া খুবই মুশকিল। আর এই মনকে ভালো রাখতে হাসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হাস্যরস বিশারদ’ উইলিয়াম ফ্রাই জানান, হাস্যরস এবং সৃজনশীলতা একই রকমভাবে মস্তিষ্ককে আন্দোলিত করে। এই দুটো বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে পুরো মস্তিষ্ককে কাজে লাগানো সম্ভব। হাস্যরস খুব দ্রত মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে। আর আমরা যখনই প্রাণ খুলে হাসি, তখনই আমাদের শরীরে সেরাটোনিন এবং এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে নিমেষে আমাদের মন ভালো হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণাও কমাতে থাকে। তাই তো এই দুটি হরমোনকে চিকিৎসকেরা “ফিল গুড” হরমোনও বলেথাকেন।

3.শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য , ভালোমন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিজেরাও দেখি যে, তুলনামূলক ভাবে হাসি-খুশি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে। আমরা যখন হাসি তখন আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, এবং বেশি অক্সিজেন গ্রহণের জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

এছাড়া আমরা আগেই জেনেছি, হাসির সময় আমাদের শরীরের “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন গুলো নানাভাবে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয় যে, ছোট খাটো অনেক রোগই শরীরকে ছুঁতে পারে না। পাশাপাশি, হাসি মানুষিক চাপ বাড়ায় এমন হরমোনকে প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধী হরমোন এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এমন এন্টিবডির সংখ্যা বাড়ায়।

4.রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে দেড়শ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। এ রোগে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারাও যাচ্ছে।

আর একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসির সময় আমাদের সারা শরীরে রক্তের প্রভাব একদিকে যেমন বেড়ে যায়, তেমনি রক্তনালী গুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শিরা ও ধমনীর উপর চাপ কম পড়ে। ফলে ব্লাড প্রেসার দ্রুত কমে যায়। তাই প্রেসারের রোগীদের যতটা সম্ভব বেশি বেশি হাসার পরামর্শ দেন অভিজ্ঞ ডাক্তারা।

হাসলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল,এন্ডেনালিন এবং ডোপামিন এর নিঃসরণ কমে যায়। ফলে উচ্চ রক্ত চাপ, হৃদরোগ,স্ট্রোক, পেটের পিড়া, ডায়াবেটিস প্রভৃতি মেটাবলিক রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময় সহজ হয়।

5.ফুসফুস ভালো রাখতে হাসির উপকারিতা

যখন আমরা হাসি, তখন ফুসফুস প্রসারিত হয় এবং আমাদের ফুসফুসের প্রতিটি কোনাবিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরে যায়। এমনটা যত হতে থাকে তত সারা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে,ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

গবেষকদের মতে, যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, বিশেষ করে অ্যাজমা রয়েছে তাদের জন্য হাসি থেরাপি খুবই উপকারী। ডাক্তার হোসেন বলেন, হাসলে আমাদের হৃদযন্ত্র, শ্বাসযন্ত্র, এগুলোর এক প্রকার ব্যায়াম হয়। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে আমাদের অবশ্যই বেশি বেশি হাসির অভ্যাস করতে হবে।

6.ওজন কমাতে সাহায্য করে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি বিপুল পরিমাণ বার্ন হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এই সময় পেটেওখুব চাপ পড়ে। ফলে, সব দিক থেকে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে , 100 বার হাসি 10 মিনিট নৌকা চালানো, কিংবা 15 মিনিট সাইকেল চালানোর সমান শারীরিক ব্যায়াম।

এছাড়াও হাসলে মুখ, পা এমনকি পিঠের মাংসপেশিরও চমৎকার এক্সারসাইজ হয়। হাসি প্রাকৃতিকভাবে দেহে বিপাক ক্রিয়ারহার বাড়ায়, যা ক্যালরি ক্ষয় করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

7-হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষেরা বেশি হাসে তাদের হার্টের সমস্যা তুলনামূলক ভাবে খুব কম হয় এবং যারা কম হাসেন তাদের হার্টের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে রক্তনালীর ভিতর যেসব টিস্যু সংযোগ স্থাপনের কাজ করে, হাসির সময় সেটা প্রসারিত হয়। তখন এটাতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়, এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়। বেশি বেশি হাসলে ব্লাড প্রসার কমে যায়। শুধু তাই নয়, হার্টের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আসলে হাসার সময় আমাদের রক্তনালীগুলি প্রসারিত হয়। ফলে সারা দেহে রক্ত প্রবাহ বেড়ে গিয়ে শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওটে।

8.হাসি মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে

হাসি হলো চেহারার অলংকার। পৃথিবীর সকল মানুষকেই হাসলে সুন্দর ও আকর্ষনীয় দেখায়। সুইজারল্যান্ডের দুইটি গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি মুখটিই সবথেকে আকর্ষণীয়। আপনার চেহারা খুব একটা সুন্দর না হলেও, হাসির মতো একটি ইতিবাচক অভিব্যক্তি আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম। বিভিন্ন গবেষণায় এটাও দেখা গেছে, হাসি মুখ এবং কৌতুকবোধ একজন মানুষকে অন্যদের থেকে বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।

9.মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে হাসি

হাসাহাসি করলে শুধুমাত্র মন ভালো থাকে তা – নয়, এটা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।গবেষক জোর্জে টরেস মেরিন বলেছিলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে হাসাতে পারে, সে মানসিক সুস্থতার উচ্চতর স্তরে পৌঁছাতে পারবে। নিজেকে হাসাতে পারলে মনো রোগের প্রভাব গুলি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। যেটা সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।

গবেষকরা মনে করেন যে, মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা, সুখ, জীবনের সন্তুষ্টি এবং জীবন সম্পর্কে আশাবাদীর সূচক হল হাসি। তাই হাসি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল বলে বিবেচিত হয়।

10.ব্যথা কমাতে হাসির উপকারিতা

ব্যথার জন্য হাসি সত্যিই খুব দারুণ ঔষধ হিসেবে কাজ করে । সম্প্রতি একদল গবেষক এটি প্রমাণ করেছেন যে, প্রাণ খুলে হাসার পর ব্যথা-বেদনা অনেক কমে যায়। প্রসিডিংস অব দ্য রয়েল সোসাইটিতে , এই গবেষণা বিষয়ক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, প্রাণখোলা হাসির পর শরীরের অভ্যন্তরে এমন কিছু বিশেষ ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয়, যেটা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এই গবেষণাটি সম্পন্ন করার জন্য, একদল স্বেচ্ছাসেবক তাদেরকে সহায়তা করেন। তবে ব্যথা নাশের ক্ষেত্রে হাসির ধরনও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

11.স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে

দেহে জমতে থাকা ক্লান্তি, কষ্ট এবং স্ট্রেস এক মুহূর্তে কমে যায়, যখন আমরা প্রাণভরে হাসি। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হল, হাসি থামিয়ে দিলেই শরীর আবার স্ট্রেসের মধ্যে চলে আসেনা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসির প্রভাব আমাদের শরীরে প্রায় 30-45 মিনিট পর্যন্ত থাকে। হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়, যেটা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত। ফলে,খুব দ্রুত মানসিক চাপ কমতে থাকে।

বিভিন্ন গবেষণায় এটাও দেখা গেছে, যারা বেশি বেশি হাসে, তারা আরও বেশি পজিটিভ হয়ে ওঠে। হাসি আমাদের দুশ্চিন্তা ভুলে আশাবাদী হতে সাহায্য করে। দুঃখের স্মৃতি ভুলতেও হাসি টনিকের মত কাজ করে।

12.ভালো ঘুমের জন্য হাসির উপকারিতা

শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ভালো ঘুম খুবই প্রয়োজন। হাসি আপনাকে ভালো ঘুম‌হতে সাহায্য করে । জাপানে এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, সন্ধ্যায় আপনিযত বেশি হাসবেন , রাতে আপনার ঘুম তত বেশি ভালো হবে। তাই ভালো ঘুমের জন্যরাতে ঘুমানোর আগে কোন মজার গল্পের বই পড়ুন। কিংবা কোন মজার সিনেমা দেখুনযা আপনাকে অনেক বেশি হাসতে সাহয়তা করবে।

13.ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাসি দেহকে ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য কর। হাসি টি-লিস্ফোরসাইটস সচল করে। যা ক্যান্সারের কোষকে আক্রমণ করে। সেইসঙ্গে গামা ইন্টারফেরোনও সক্রিয় করে। যা টিউমার তৈরি প্রতিরোধ করে। তাই ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ এক ধরনের থেরাপি দেওয়া হয়। যেটা রোগীর দেহে ব্যথা দূর করে এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

14.সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি করে

সামাজিক বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাসি দিয়ে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানুষের যোগাযোগের মধ্যে হাস্যরসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হাস্যরস ও কৌতকপূর্ণ যোগাযোগ ইতিবাচক অনুভূতি সঞ্চারণ করে, আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং মানসিক সংযোগ লালন করে।

আমরা যখন একে অন্যের সাথে হাসি তখন বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই বন্ধন স্ট্রেস,মতবিরোধ ও হতাশার বিরুদ্ধে শক্তিশালী বাফার হিসেবে কাজ করে। সম্পর্ককে সতেজ ও রোমাঞ্চকর রাখার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে হাসি।

হাসির উপকারিতা

কারা বেশি হাসে

গবেষণায় দেখা গেছে ,বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি হাসে৷ তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করে, এতে আনন্দ পায় এবং প্রচুরহাসে। পুরুষরা নারীদের তুলনায় কম হাসে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষেরা সেই সব নারীকে সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেন, যারা তার রসিকতায় বেশি হাসেন। অন্যদিকে, নারীরা ওইসব পুরুষদের বেশি পছন্দ করেন, যারা তাদের সব সময় হাসি খুশি রাখে।

হাসির অপকারিতা

হাসির উপকারিতা অনেক। তারপরও, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে , একাধিক কারণে হাসতে হাসতে মানুষের মৃত্যুও ঘটতে পারে। যেমন: কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, ফুসফুস অকেজো হওয়া, হার্নিয়ায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম স্নায়ুতে চাপ এবং গেলাস্টিক সেইজারের কারণেও হাসতে হাসতে মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।

এছাড়া, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যাটাপ্ল্যাক্সি নামে একটি শব্দ আছে । আর এই ক্যাটাপ্ল্যাক্সি হলে মানুষ পুরোপুরি সজ্ঞানে থেকেও মাংস পেশি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত হাসির কারণে ক্যাটাপ্ল্যাক্সিঅ্যাটাক হতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারে যে তার ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধ করার ক্ষমতা থাকেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সামারি

হাসি হচ্ছে মানুষের ভাব, ভাষা ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ। ভালো লাগা,খুশি হওয়া, আনন্দ বা কোনো কাজে সাফল্য অর্জনের পর আমাদের মনে যে আবেগের সঞ্চার হয়, সেটা ফুটে ওঠে হাসির মধ্য দিয়ে। আমাদের হাসতেই হবে, কারণ হাসি একটি মানবিক আচরণ। সুস্থ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে হলে হাসতে হবে। দেহ এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে হাসির প্রয়োজন রয়েছে। ‘হাসি থেরাপি’একধরনের ভালো থাকার পদ্ধতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button