সাইকেল চালানোর খুব গুরুত্বপূর্ণ ১২টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

(সাইকেল চালানোর উপকারিতা)

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণায় দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে আবার অস্থিতিশীল পরিবেশ আর সমালোচনায় না গিয়ে বিকল্প পথ খুঁজে বের করেছেন। চলাচলের জন্য তারা চিন্তা করছেন সাইকেলের। এই বাহনটি আপনার খরচ যেমন কমাবে তেমনি শরীরের জন্যও খুব উপকারী।

তাই আজ আমরা সাইকেল চালানোর উপকারিতা, সাবধানতা এবং পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

সাইকেল চালানোর উপকারিতা

সাইকেল চালানোর উপকারিতা

1.ওজন কমাতে সাহায্য করে

সাইক্লিং হলো সাঁতারের পরে সব থেকে ভালো ব্যায়াম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যায়াম। সাঁতারের মত সারা শরীর ব্যায়াম হয় সাইকেলিং করলে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি উত্তম পন্থা। এটি আমাদের বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের সপ্তাহে ব্যায়ামের মাধ্যমে কমপক্ষে 2000 ক্যালোরি পড়ানো উচিত। যেখানে এক ঘন্টা সাইকেলিং করে 900 থেকে 1300 ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি সাইক্লিং করলে তলপেটের মাসল শক্ত হয়। যেটা পেট মোটা হওয়া কমাতে সাহায্য করে। ব্রিটিশ গবেষকরা দেখেছেন, প্রতিদিন মাত্র আধা ঘণ্টা সাইকেল চালালে বছরে পাঁচ কেজি চর্বি ঝরানো সম্ভব হয়।

2.স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে

প্রতিদিন সকালে বা বিকালে নিয়মিত সাইকেল চালালে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত সাইকেল চালালে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয় এবং স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়। ইলিনয়েড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, যারা নিয়মিত সাইক্লিং করেন, মেন্টাল টেস্টে তারা অন্যদের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি নম্বর পান। কারণ হিসেবে তারা বলেন, মস্তিস্কের হিপোক্যাম্পাস নামের স্থানটি স্মৃতিশক্তির জন্য কাজ করে। আর সাইক্লিং করলে হিপোক্যাম্পাসে স্নায়ুকোষ বাড়তে থাকে। তাই তাদের স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।

আবার, নিয়মিত সাইকেল চালালে ব্রেন সেলের জন্ম হার বাড়তে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি মনোযোগ এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। এছাড়াও, অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

3.মাংসপেশি গঠন করতে সাহায্য করে

আমরা সবাই জানি সাঁতারের পরে সবথেকে ভালো ব্যায়াম হিসাবে সাইকেলিংকেই স্থান দেওয়া হয়। আর যখন আমরা সাইকেল চালায় তখন শরীরের নিচের অংশে সবথেকে বেশি চাপ সৃষ্টি হয়। তাই সাইকেলিং করলে শরীরের নিচের অংশের মাংসপেশী গুলোর ভালো ব্যায়াম হয়।

পাশাপাশি, পায়ের পেশী গঠনে সাহায্য করে। আপনি প্রতিবারই যখন সাইকেলের পেডেলে চাপ দিচ্ছেন আপনার পায়ের কয়েকটি পেশী সক্রিয় হয়ে উঠছে। একইসাথে আপনার বাহুগুলোও শক্তিশালী সক্রিয় হয়ে উঠছে।

এছাড়াও কোমর, হাটু, হাতের পেশি, হাঁটুর জয়েন্ট গুলোও ভালো থাকে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ শরীরের পেশী কার্যক্রমকে আরও উন্নত করে তোলে সাইক্লিং।

4.ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিসের মেলায়টিসের হার কমে। আবার যাদের ডায়াবেটিস মেলাইটিস রয়েছে, তারা নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিনল্যান্ডের গবেষকরা সাইক্লিং ও ডায়াবেটিসের সাথে যোগসূত্র দেখার জন্য বিস্তর গবেষণা করেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত সাইক্লিং করেন তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি শতকরা 40 ভাগ কম।

অন্য আর এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন মাত্র 30 মিনিট সাইকেল চালালে প্রায় 40% ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সপ্তাহে তিনবারে 20 মিনিট অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে তিন মিনিট সাইক্লিং করলেই যথেষ্ট।

5.স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় সাইকেলিং

হৃদরোগ কমাতে সাইকেল চালানোর উপকারিতা চোখে পড়ার মতো। কারণ হৃদরোগীদের জন্য রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ খুবই জরুরি। আর সাইকেল চালালে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে হার্ট ভালো থাকে। সুস্থ মানুষ নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

আবার অলরেডি হৃদরোগে আক্রান্তরাও এতে উপকার পাবেন। ডেনিশ একদল গবেষক প্রায় ১৪ বছর ধরে ৩০ হাজার লোকের ওপর একটি গবেষণা করেন। এদের বয়স ছিল ২০-৯৩ বছরের মধ্যে। গবেষকরা সাইক্লিংয়ের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেছেন। এতে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সাইক্লিং করেছেন, তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশ কম।

আবার, গবেষক লি জানান, প্রতিদিন আধা ঘন্টা করে সাইক্লিং করলে 40 থেকে 70 শতাংশ হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়। এছাড়াও, ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের এক রিপোর্ট অনুসারে, সপ্তাহে কম-বেশি ৩০ কিমি সাইকেল চালালে করনোরি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।

6.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

নিয়মিত সাইক্লিং করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা অনুসারে, যারা সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে সাইক্লিং করেন তাদের অসুস্থতার দিন অন্যান্যদের তুলনায় অর্ধেক কমে যায়। যখন আমরা নিয়মিত সাইকেল চালায় তখন শরীরের মাংসপেশীগুলো বিভিন্ন মাত্রায় কাজে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে পেশির গঠন দৃঢ় হয়।

নিয়মিত সাইকেল চালালে আমাদের শরীরের গঠন ঠিক থাকে। শারীরিক কার্যক্রম ও শক্তি বৃদ্ধি পায়, এবং শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। আপনি যদি অল্প শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে সাইক্লিং করেন, তাহলে পুনরায় শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, নিয়মিত সাইক্লিং করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করা যায়।

7.ক্যান্সার প্রতিরোধ করত সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন না করলে কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক অংশে বেড়ে যায়। আবার নিয়মিত সাইক্লিং করলে অন্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। সাইকেল চালানো, দৌড়ানো, নাচ করা, এই সমস্ত ব্যায়ামগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খুবই উপকারী।

এছাড়া, প্রায় আড়াই লাখ মানুষের ওপর গবেষণা করে, গবেষকরা দেখেছেন। যারা নিয়মিত সাইকেল চালান তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কমে যায়, আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ৪৬ শতাংশ। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেসন গিল বলেন, কোন উপায়ে আমরা কাজে যাই তার ওপরে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকারিতা বেশি। তিনি আরো বলেন, সাইকেল চালিয়ে কাজে গেলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।

8.মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাইকেল চালানোর উপকারিতা

ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। যখন আমরা সাইক্লিং করার জন্য সকালে অথবা বিকালে সুন্দর আবহাওয়ায় ঘুরে বেড়ায় তখন মনে প্রশান্তি আসে। পরিষ্কার অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি। তখন মানসিক ডিপ্রেশন, স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমে যায়। নিয়মিত সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি।

আবার নিয়মিত সাইক্লিং করলে মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। এটি আমাদের সুস্থ মানসিকতার জন্য খুবই জরুরি। পাশাপাশি সাইক্লিং আপনাকে করটিসল এবং এড্রেনেলীন এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যেটা স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর একটি উপায়।

9.যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে

সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকো এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০০ হাজার সাইক্লিস্ট, সাঁতারু এবং দৌড়বিদদের ওপর বড় ধরনের একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নাবলী জিজ্ঞাসা করা হয়।

পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক প্রোস্টেট নির্ণায়ক স্কোর বুঝতে তাদের ব্যায়াম রুটিন, মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌন অক্ষমতা, সাইকেলের সিট থেকে ‍সৃষ্টি ঘা বা সাইকেল চালানো থেকে ‍সৃষ্টি অস্বস্তি ইতিহাস পর্যালোচনা করেন, গবেষকরা।

ইউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, সাইক্লিস্টদের যৌন এবং মূত্র স্বাস্থ্য সাঁতারু এবং দৌঁড়বিদদের সঙ্গে তুলনীয়। চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, নিয়মিত যারা বেশি সাইকেল চালান, তাদের সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্যে ভালো দেখা গেছে।

গবেষকরা বলছেন, সাইক্লিস্টদের ওপর বাইসাইকেল চালানোর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। বরং এটি যৌনসংক্রান্ত অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে। গবেষণার প্রধান লেখক ডা. বেঞ্জামিন ব্রেয়ার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই গবেষণার ফলাফলগুলো সাইকেলিস্টদের উৎসাহ বাড়াবে।

10.ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক পরীক্ষা করে দেখেছেন । প্রতিদিন নিয়মিত 20 থেকে 30 মিনিট সাইকেল চালালে, শরীরের অভ্যন্তরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যেটা তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করে।

এছাড়া, মানুষের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন দুশ্চিন্তা, চাপ ও হতাশা দূরীকরণেও সাইক্লিং খুবই কার্যকরী। সাইক্লিং মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ ও চাঙা করে দেয়। যা মানুষের আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষ সকল প্রকার দুশ্চিন্তা, চাপ ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকে। আর যার দুশ্চিন্তা কম তার স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম ভালো হয়।

11.ফুসফুস ভালো রাখে

আর ফুসফুস ভালো রাখতে সাইকেলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যখন আমরা সকালে অথবা বিকালে প্রকৃতির মাঝে সাইক্লিং করি তখন ফুসফুসের ভিতরে প্রচুর ফ্রেশ অক্সিজেন প্রবেশ করে। যার ফলে ফুসফুস ভালো থাকে, এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন সাইকেল চালক একজন গাড়ি চালকের থেকে কম বিপদজনক ধোয়ার সম্মুখীন হয়ে থাকে। যেটা ফুসফুসের জন্য খুবই ভালো।

আবার 20 থেকে 93 বছর বয়সী 30 হাজার ব্যক্তিকে নিয়ে 14 বছর ধরে পরিচালিত একটি ড্যানিশ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সাইক্লিং মানুষকে হৃদ্‌রোগ থেকে রক্ষা করে। সাইকেল চালানোর সময়,স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী এবং গভীর শ্বাস নিতে হয় একারণে ফুসফুস প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। তাহলে ফুসফুস ভালো থাকে।

12.সময় বাছাই

এটি সাইকেল চালানোর অন্যতম একটি উপকারিতা। সাইকেল অনেক আগে থেকেই মানুষের বাহন হিসাবে পরিচিত। অল্প দূরত্বের পথ গুলো আমরা খুব সহজেই সাইকেল চালিয়ে যেতে পারি। এতে যানজটের ঝামেলা পোহাতে হয় না। আবার নিজের অজান্তেই শারীরিক ব্যায়াম হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় বাস বা ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। এতে আমাদের শরীর ভালো থাকে আবার মূল্যবান সময়টুকুও বাঁচাতে পারি।

পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইকেলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের বাহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করেন। পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, unfit যানবাহনের চেয়ে ঢাকার রাস্তায় সাইকেল হতে পারে যানজট নিরসন ও সময় বাঁচানোর ‘স্মার্ট’ সমাধান।

বাড়িতে সাইক্লিন

বাড়িতে সাইক্লিং

শহরের রাস্তায় সাইকেল চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে,আজকাল অনেকেই বাড়িতে সাইকেলিং করার যন্ত্র কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকে আছে, যাদের বাইরে সাইকেলিং করার মত পর্যাপ্ত সময় থাকে না। তারাও ফোল্ডিং এক্সারসাইজ বাইক কিনে নিতে পারেন । এটি ঘরের মধ্যে, ব্যালকনিতে বা বাড়ির ছাদে যেকোনো জায়গায় সুবিধা মতো ব্যবহার করা যায়।

আবার অনেকে জিমে গিয়েও সাইকেলিং করে থাকেন। বাড়িতে বা জিমে সাইকেলিং করলেও আপনি একই রকম উপকারিতা পাবেন।

সাইকেল চালানোর উপকারিতা

সাবধানতা

সাইকেল চালানোর উপকারিতা অনেক কিন্তু শহরের ব্যস্ত রাস্তায় সাইক্লিং করা খুব একটা সহজ নয়। এক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:

  • সাইকেল চালানোর আগে নিরাপত্তা গিয়ার ঠিক আছে কিনা চেক করে নিন।
  • সব সময় রাস্তার একপাশ দিয়ে সাইকেল চালান।
  • বাই সাইকেল চালালেও ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
  • কখনোই খুব দ্রুত সাইকেল চালানো যাবে না। হেলমেট ব্যবহার করুন।
  • হাতের নিরাপত্তার জন্য গ্লাভস ব্যবহার করুন।
  • সাইকেল চালানোর আগে পুরো সাইকেলটি একবার চেক করে নিন।
  • কোন সমস্যা থাকলে আগেই রিপিয়ার করে নিন।

সাইক্লিং শুরুর ৯০ মিনিট আগে হালকা কিছু স্ন্যাক্স খেয়ে নেওয়া ভালো। ব্যায়ামের আগে, পরে ও মাঝে প্রয়োজনে পানি পান করতে পারেন। কেননা, এতে প্রচুর ঘাম ঝরে। তাই ক্লান্তি দূর করতে সঙ্গে এক বোতল পানি বা জুস রাখুন। আরামদায়ক ও ঘাম শুষে নেয় এমন পোশাক পরুন, ট্র্যাকস্যুটও পরতে পারেন।

সাইকেল চালানোর সাবধানতা

সামারি

সাইকেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তেমনি পরিবেশের জন্যও উপকারি। অনেকেই শুধুমাত্র আনন্দের জন্য সাইকেল চালান। আশা করি সাইক্লিং করার উপকারিতাগুলো জানার পর আপনার উৎসাহ আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ থেকেই সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন। কারণ এটা আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, সাইকেল চালানোর উপকারিতা অনেক।

Leave a Comment