খালি পেটে পানি খাওয়ার অজানা সব উপকারিতা

(খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা)

আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি পানির অপর নাম জীবন। ছোট্ট এই কথাটি থেকেই আমরা বুঝতে পারি জীবের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পানির গুরুত্ব কতটা। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি। এছাড়া, হাড়ের এক-চতুর্থাংশ, পেশির তিন-চতুর্থাংশ ও মস্তিষ্কের ৮৫% পানি দিয়ে গঠিত। পাশাপাশি, রক্ত ও ফুসফুস ৮০% পানি দিয়ে গঠিত।

মানব শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক, তার মানে এটা নয় যে আপনাকে সারাক্ষণ পানি পান করতে হবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য আপনার একদিনে ঠিক যতোটুকু পানির প্রয়োজন, ততটুকুই পান করতে হবে।

এর বেশি পান করলেও সমস্যা, কম পান করলেও সমস্যা। নিয়মিত পানি পান করার উপকারিতা অনেক। তবে খালি পেটে পানি পান করলে, আরো কিছু এক্সট্রা উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই আজ আমরা খালি পেটে পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের আরো দুটো বিষয় খুব ভালোভাবে জানতে হবে।

  • প্রথমত: একজন সুস্থ সবল মানুষের একদিনে কতটুকু পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত।
  • দ্বিতীয়ত: একজন মানুষের খালি পেটে কতটুকু পানি পান করা উচিত।

তাহলে চলুন স্টেপ বাই স্টেপ জানার চেষ্টা করি-

একজন মানুষের একদিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত

খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা

একজন সুস্থ মানুষের একদিনে কতটুকু পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত? সঠিকভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা একটু কঠিন। কারণ একজন মানুষের পানির চাহিদা নির্ভর করে তার শারীরিক গঠন, কাজের পরিমাণ, পরিবেশ এবং তার আশপাশের আবহাওয়ার উপর।

তবে কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ সবল মানুষ একদিনে যত গ্রাম লবণ খাবে, তার শারীরিক পানির চাহিদাও ততটুকু। যেমন: আপনি যদি সারা দিনে চার থেকে পাঁচগ্রাম লবণ খান, তাহলে আপনার পানির চাহিদা ৪ থেকে ৫ লিটার। আবার এর থেকে যদি কম লবণ খান তাহলে আপনার পানির চাহিদাও কম থাকবে।

এছাড়া, ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিসিনের মতে, একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে বসবাসকারী সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক তরলের চাহিদা হল:

একজন পুরুষের জন্য প্রায় 15.5 কাপ বা 3.7 লিটার, এবং এক জন মহিলার জন্য প্রায় 11.5 কাপ বা 2.7 লিটার তরল। লক্ষ্য করুন, এখানে ‘তরলের’ কথা বলা হয়েছে।

কারণ, আমাদের শরীরে দৈনিক যে পানির চাহিদাটা থাকে তার ২০ পার্সেন্ট আসে সাধারণ খাবার থেকে (আপনি দৈনিক যে খাবারগুলো খান) এবং বাকিটা আসে পানীয় থেকে। যেমন: চা, কফি, দুধ, শরবত, জুস, পানি ইত্যাদি। এই জন্যেই এখানে ‘তরলের’ কথা বলা হয়েছে। আবার যারা সারাদিন ঠান্ডা করে শুয়ে বসে থাকে তাদের পানির চাহিদা আরো কম।

পানি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে একজন মানুষের দৈনিক কতটুকু পানি পান করা উচিত

যখন খালি পেটে পানি পান করার কথা আসে তখন সর্বপ্রথম মনে যে প্রশ্নটা আসে সেটা হল: কতটুকু পানি পান করতে হবে? একদিনে একজন মানুষের খালি পেটে ঠিক কতটুকু পানি পান করা উচিত, এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন:

ভারতের দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের একজন সিনিয়র পরামর্শক, ডাঃ পারমেশ্বর অরোরার মতে, সকালে খালি পেটে 250 মিলি (1.5 কাপ) বিশেষভাবে গরম পানি পান করা উচিত। তিনি আরো বলেন, পানি পান করার আগে পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড মুখের মধ্যে রেখে ধীরে ধীরে পান করা উচিত।

আবার, ভার্জিনিয়ার মানব পুষ্টি বিভাগের এমিলি এল ভ্যান ওয়ালেহেন এট আল-এর মতে, খালি পেটে 250 – 500 মিলি (1.5-3 কাপ) এর মধ্যে পানি পান করা উচিত। তিনি তার রোগীদের খালি পেটে 250 থেকে 500 মিলি পানি পান করার প্রভাব গুলি বিশ্লেষণ করে এই মতামত প্রকাশ করেন। তবে খালি পেটে প্রতি ঘন্টায় 0.5-1 লিটারের বেশি পানি পান করা কোনভাবেই উচিত নয়। এর বেশি হলে বিভিন্নভাবে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এবার চলুন খালি পেটে পানি খাওয়ার করার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি-

পানি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে পানি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুবই জরুরী। আর শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পানির বিকল্প কিছুই নাই। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করলে দাঁত ও মুখের স্যালাইভায় থাকা ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রবেশ করে, ফলে পাকস্থলির অ্যাসিডের প্রভাব কমে যায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পানিকে শরীরের টনিক্স মুক্ত করার কার্যকরী হাতিয়ার বলা হয়। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে শরীরের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু টনিক্স সহজে অপসারণ হয়, আবার কিছু টনিক্স অপসারণ করতে এক্সট্রা শক্তির প্রয়োজন হয়।

আর পানি কিডনি এবং পাকস্থলীর কার্যকারিতা বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়, পাশাপাশি বিষাক্ত পদার্থ গুলিকে পাতলা করতে সাহায্য করে। ফলে খুব সহজেই শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলি বেরিয়ে যায়।

কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্টিভেন গেস্টের মতে, একজন মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল গ্রহণ করলে তার কিডনি তার শরীরকে পরিষ্কার এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করতে আশ্চর্যজনক কাজ করতে থাকে। এছাড়া, খালি পেটে পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ হয়। কারণ পানি অ্যাসিডগুলিকে পাতলা করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়। পাশাপাশি, এটি মূত্রাসয়ের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।

2013 সালে মাইকেল বোশম্যান এট আল প্রমাণ করেন যে, সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করলে লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় 25% বৃদ্ধি পায়। ফলে খাবার খুব দ্রুত হজম হয় এবং মলাশয় সচল থাকে। পাশাপাশি, পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে।

এছাড়া, হামবোল্ট-ইউনিভার্সিটির মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অফ দ্য চ্যারিটি, সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন, এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে খালি পেটে 500 মিলি পানি পান করলে মেটাবলিক হার 30 শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

আবার বিপাকক্রিয়া দ্রুত হলে, দ্রুত ক্যালোরিও বার্ন হয়। ফলে খুব দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে। এছাড়া খালি পেটে বা খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে যায়। এটাতেও দেহের ওজন কমতে থাকে।

ভার্জিনিয়া টেকের মানব পুষ্টি, খাদ্য ও ব্যায়াম বিভাগের ব্রেন্ডা এম. ডেভি এবং তার দলের সদস্যরা মিলে ২০০৮ সালে একটি পরীক্ষা করেন, এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব প্রাপ্তবয়স্করা খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে ৫০০ মিলি পানি পান করেছেন তাদের খাবার গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে 60 – 74 কিলোক্যালরি।

অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব প্রাপ্তবয়স্করা খালি পেটে পানি পান করেন, তারা অন্যদের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম খাবার খান। আর আমরা জানি পানি একটি জিরো ক্যালরি খাবার। তাই পানি খেলে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনাই নেই, বরং বিভিন্নভাবে ওজন কমতে শুরু করে।

চিকিৎসকদের মত, সকালে খালি পেটে পানি পান করলে এসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে। এতে খাদ্য নালির অনেক অসুখের সম্ভাবনা কমে যায় এমনকি খাদ্যনালীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক অংশে কমে যায়।

আবার, মাইগ্রেন বা ঘন ঘন মাথাব্যথা সমস্যার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শরীরে তরলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন। আর সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করলে প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সুইজারল্যান্ডের বাসেল-এর হফম্যান-লা রোচে-এর প্রধান ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট নাথালি প্রস ২০১৪ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন, এই গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেন যে ডিহাইড্রেশনের কারণে মেজাজ এবং কর্মক্ষমতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

তিনি আরো দেখেছেন যখন কোন ব্যক্তি ডিহাইড্রেট থাকেন তখন তার জ্ঞানশক্তি কমতে শুরু করে। আর সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে পাশাপাশি, মাইগ্রেনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও খালি পেটে পানি পান করতে পারেন। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো বের হয়ে যায়। ফলে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল দেখায়। আবার পানি রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং নতুন রক্ত কণিকা উৎপাদন করতে সাহায্য করে, ফলের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এছাড়াও, পানি ত্বকের শুষ্ক ভাব এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করতে পারেন। কারণ পানি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং অন্তের বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ২০০৬ সালে মিনেশ খাত্রী এমডি দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, ডিহাইড্রেশন হল দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি।

এছাড়া, ভারতের মেদান্ত মেডিসিটি হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাসবিন্দর আনন্দের মতে, পানি কোলনের জন্য লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং এর অভাব হজমের অসুস্থতাকে ট্রিগার করতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে নিয়মিত খালি পেটে পানি পান করতে পারেন।

এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি পান করলে নতুন মাংস পেশি ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। খালি পেটে পানি পান করলে বমি বমি ভাব, গলার সমস্যা, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা,আথ্রাইটিস, মাথা ব্যাথা ইত্যাদিও কম হয়। মাংসপেশী মজবুত এবং পেশির ব্যাথা থাকলেও নিরাময় হয়।

NOTE:- যদিও খালি পেটে পানি পান করার উপকারিতা অনেক, তারপরও সচেতনতার সাথে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। তা-না হলে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

সাবধানতা

আমরা ইতিমধ্যে খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে খালি পেটে অতিরিক্ত পানি পান করলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন: অতিরিক্ত পানি পান করলে শরীরে তরলের ওভারলোড এবং ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

এটি শরীরের সোডিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করে, ফলে বমি বমি ভাব বা বমি, ক্র্যাম্প এবং ক্লান্তি আসতে পারে। আপনি যদি খালি পেটে পানি পান করার পরে এই উপসর্গ গুলো দেখতে পান, তাহলে পানি পান করা বন্ধ করুন। তাহলে শীঘ্রই এই উপসর্গগুলো কমে যাবে।

এছাড়া, প্রেগনেন্সি মায়েদের অতিরিক্ত পানি পান করা উচিত নয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর মতে, গর্ভবতী মহিলাদের সব সময় পেট ভরা রাখতে এবং রক্তে শর্করার ঘাটতি দূর করতে বেশি বেশি খাবার খাওয়া উচিত। এনএইচএস এর মতে, গর্ভবতী মহিলাদের কমপক্ষে দিনে ছয়বার খাবার খাওয়া উচিত।

আর আমরা আগেই জেনেছি অতিরিক্ত পানি পান করলে পেট ভরা থাকে, তাই খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। তাদের মতে গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন 1.5 থেকে ২.৫ লিটার পানি এবং ক্যাফিন বিহীন তরল পান করা উচিত। অবশ্যই অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়াও, অতিরিক্ত পানি পান করলে আরও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খালি পেটে পানি পান করুন, তবে অবশ্যই সেটা নিয়ম মেনে।

সামারি

একটি প্রবাদ আছে, যদি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান, তাহলে সকালবেলা সর্বপ্রথম পানি পান করুন।যদি তুলনা করা হয় তাহলে অক্সিজেনের পরেই পানির স্থান দেওয়া যায়। তাই আমরা এই প্রবন্ধে পানি খাওয়ার উপকারিতা, সাবধানতা, একজন মানুষের একদিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত, একজন মানুষের খালি পেটে কতটুকু পানি পান করা উচিত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে পানি পান করার সময় অবশ্যই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত। খাবার খাওয়ার মধ্যে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া পানি পান না করাই ভালো। পাশাপাশি যখনই পিপাসা পাবে তখনই পানি পান করতে হবে।

1 thought on “খালি পেটে পানি খাওয়ার অজানা সব উপকারিতা”

Leave a Comment